শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৫৯ পূর্বাহ্ন
আব্দুল মমিন- সদর(নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ
নীলফামারী সদর উপজেলায় সিঙ্গেল ইউজড প্লাস্টিক বন্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের সচেতনতামূলক সভা হয়েছে। নীলফামারী জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের আয়োজনে গতকাল জেলার শাহীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সিঙ্গেল ইউজড প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধে একটি সচেতনতামূলক সভার আয়োজন করা হয়।
উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কমল কুমার বর্মন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা ক্রীড়া অফিসার মোঃ আবুল হাসেম।
উক্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন শাহীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মোছাঃ শামীমা আক্তার। এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দসহ বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীবৃন্দ ও অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন। বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে বৃক্ষরোপণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করা হয়। পরে সভার সভাপতি মোছাঃ শামীমা আক্তার উপস্থিত সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সভার শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
এসময় প্রধান অতিথি কমল কুমার বর্মন পলিথিন বা সিঙ্গেল ইউজড প্লাস্টিক ব্যবহারের বিভিন্ন ক্ষতিকর দিকসমূহ নিয়ে আলোচনা করেন এবং পলিথিন বা সিঙ্গেল ইউজড প্লাস্টিকের বিকল্প পরিবেশসম্মত উপকরণ ব্যবহারের পরামর্শ প্রদান করেন। তিনি বক্তব্যে আরো বলেন যে, প্লাস্টিক বা পলিথিন দীর্ঘদিন যাবৎ নষ্ট হয় না বিধায় এটি মাটিতে জমে মাটির উর্বরতা শক্তি হ্রাস করে, পানির স্তর নিচে নেমে যায়, ভূমিকম্পে ভবনের অবকাঠামো দূর্বল হওয়াসহ খাদ্যদ্রব্যে মিশে বিভিন্ন ধরনের রোগব্যাধি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, আজকের শিশুরা আগামীর ভবিষ্যৎ তাই শিক্ষার্থীদের সচেতন করা গেলে তারা ভবিষ্যতে সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়তে সহায়তা করবে। পাশাপাশি বিদ্যালয়টিকে পলিথিন বা সিঙ্গেল ইউজড প্লাস্টিক ফ্রি স্কুল ঘোষণাপূর্বক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে পলিথিন বা সিঙ্গেল ইউজড প্লাস্টিক-এর ক্ষতিকর দিক সম্বলিত ব্যানার প্রতিস্থাপন করা হয়।
বিষেশ অতিথির বক্তব্যে জেলা ক্রীড়া অফিসার মোঃ আবুল হাসেম বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এবং একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পলিথিন বা সিঙ্গেল ইউজড প্লাস্টিক ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করে পরিবেশ বান্ধব পণ্য বা পণ্যসামগ্রী ব্যবহারে সকলকে উৎসাহিত হতে হবে এবং অন্যকেও উৎসাহিত করতে হবে।
বক্তব্য শেষে বিদ্যালয়ের পরিস্কার ও পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেণীর শিক্ষার্থীবৃন্দের মাঝে ময়লা রাখার বিন বিতরণ করা হয়।